ক্যাশ মেমোরি (Cache Memory) কি?
বিট বাইট কাকে বলে ?
ক্যাশ মেমোরি কেন কাজে লাগে?
"ক্যাশ কি এবং এর বিভিন্ন টাইপ সম্পর্কে তো জানলেন, এবার প্রশ্নে আসি যে এটি কোন কাজে আসে এবং কেন প্রয়োজনীয় তা নিয়ে। চলুন এটি বোঝানোর জন্য একটি বাস্তব জীবনের উদাহরণ দেওয়া যাক। বন্ধুরা মনে করুন আপনি একটি অফিসে কাজ করেন এবং আপনি একটি ডেস্কে বসে কাজ করেন। মনে করুন একটি ব্যাক অফিস আছে এবং সেখানে আপনার সকল কাজের ফাইলস আছে। এখন ধরুন ব্যাক অফিসটি হলো আপনার কম্পিউটারের হার্ডড্রাইভ এবং আপনার কাজ করার ডেস্কটি হলো কম্পিউটারের র্যাম। তো যখনই আপনি কাজ করার প্রয়োজন বোধ করেন তখন আপনাকে উঠে সেই রুমে যেতে হয় ফাইল আনতে অথবা আপনি আপনার পিওনকে কল করেন সে ফাইল গুলো এনে দিলে আপনি কাজ করা শুরু করতে পারেন। এখন আপনার ডেস্ক যতো বড় হবে আপনি ততো বেশি ফাইল একসাথে মেলিয়ে কাজ করতে পারবেন, যেটা র্যাম এর উদাহরণ। এখন মনে করুন আপনার ডেস্কে দুইটি ড্রয়ার আছে এবং মনে করুন এটিই ক্যাশ মেমোরি। যদিও ড্রয়ার আপনার ডেস্ক থেকে অনেক ছোট কিন্তু সেটি অনেক সহজে অ্যাক্সেস অ্যাবল। সহজেই ড্রয়ার খুলতে পারবেন এবং কাজের জিনিস বের করে কাজ শুরু করে ফেলতে পারবেন। এখন আপনি ড্রয়ারে অবশ্যই এমন কিছু জিনিষ রাখেন যা আপনার সবচাইতে বেশি প্রয়োজন পড়ে, যেমন স্টাপল্যার, কোন স্ট্যাম্প, কোন গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট বা কোন প্রপোজাল। তো এই ড্রয়ার গুলো হলো আপনার ক্যাশ মেমোরি।ঠিক একই ভাবে আপনার কম্পিউটারের সিপিইউ কে কাজ করার জন্য অনেক গুলো প্রসেস সম্পূর্ণ করতে হয় এবং অনেক ডাটা রীড এবং রাইট করতে হয়। তো এই অবস্থায় ক্যাশ মেমোরি বারবার ব্যবহার হওয়া ডাটা গুলো নিজের কাছে সংরক্ষন করে রাখে। এখন যদি আপনার কম্পিউটার কোন নির্দেশ এক্সিকিউট করতে চায় তবে সে প্রথমে র্যাম থেকে ডাটা ফেচ না করে ক্যাশের কাছে সেই ডাটা বা নির্দেশ খোঁজার চেষ্টা করে। ক্যাশের কাছে যদি সে কাঙ্ক্ষিত ডাটা গুলো পেয়ে যায় তবে প্রসেসরের কাজ করার প্রসেস অনেক বেশি ফাস্ট হয়ে যায়। প্রসেসর ক্যাশ থেকেই তথ্য সংগ্রহ করতে পারে সেগুলো রীড রাইট করতে পারে এবং আউটপুট দেখাতে পারে। তো এক কথায় বলতে ক্যাশ মেমোরি আপনার কম্পিউটারের প্রসেসরকে অনেক দ্রুত কাজ করার জন্য সাহায্য করে থাকে।
ক্যাশ লেটেন্সি (Cache Latency)?
১। বিদ্যুৎ কি? কত প্রকার এবং কি কি?
২। কারেন্ট কি? কত প্রকার এবং কি কি?
৩। অ্যাম্পিয়ার কাকে বলে?
৪। ভোল্টেজ কি? ভোল্টেজ কিভাবে পাওয়া যায়?
৫। রেজিস্ট্যান্স কি?
৬। Capacitance (ক্যাপাসিট্যান্স) কি? এর প্রতীক এবং একক কি?
৭। Inductance (ইন্ডাকট্যান্স) কি ? এর প্রতীক এবং একক কি?
৮। Conductor (কন্ডাকটর) বা পরিবাহী কি?
৮। Insulator (ইন্সুলেটর) বা অপরিবাহী কি?
৯। Semi-Conductor (সেমি-কন্ডাকটর) বা অর্ধপরিবাহী কি?
১০। Power (পাওয়ার) বা ক্ষমতা কি?
১১। Energy (এনার্জি) বা শক্তি কি?
১২। বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্ক কি?
১৩। বৈদ্যুতিক সার্কিট কি? বৈদ্যুতিক সার্কিট কত প্রকার এবং কি কি?
সার্কিটের উপাদান সমুহের সংযোগের ভিত্তিতে সার্কিট তিন প্রকার। যথাঃ
১৪। বৈদ্যুতিক সার্কিটে কি কি প্রয়োজনীয় উপাদান থাকা আবশ্যক?
(i) উৎস (Source) যেমনঃ ব্যাটারী অথবা জেনারেটর।
(ii) পরিবাহী (Conductor) যেমনঃ তামা অথবা এলুমিনিয়াম তার।
(iii) নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (Controlling device) যেমনঃ সুইচ।
(iv) ব্যবহার যন্ত্র (Consuming device) যেমনঃ বাতি, পাখা।
(v) রক্ষন যন্ত্র (Productive device) যেমনঃ ফিউজ, ব্লেকার।
১৫। সার্কিট ডায়াগ্রাম কি?
১৬। সিরিজ সার্কিট -এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি?
সিরিজ সার্কিট -এর বৈশিষ্ট্যঃ
(i) সিরিজ সার্কিটে যুক্ত সব লোড বা রেজিস্টর’এর মধ্য দিয়ে একই পরিমান কারেন্ট প্রবাহিত হয়। অর্থাৎ I= I1+I2+I3+——–+In
(ii) সিরিজ সার্কিটে যুক্ত প্রতিটি রেজিস্টার বা লোডের ভোল্টেজ ড্রপসমূহের যোগফল সার্কিটে প্রয়োগকৃত ভোল্টেজের সমান। অর্থৎ V=V1+V2+V3+———+Vn
(iii) সিরিজ সার্কিটে যুক্ত রেজিস্টার বা লোড সমূহের রেজিস্ট্যান্সগুলোর যোগফল মোট রেজিস্ট্যান্স (সার্কিটের) সমান। অর্থাৎ R=R1+R2+R3+——–+Rn
১৭। প্যারালাল সার্কিট কি? প্যারালাল সার্কিট-এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি?
প্যারালাল সার্কিট-এর বৈশিষ্ট্যঃ
(i) প্যারালাল সার্কিটে যুক্ত প্রতিটি লোড বা রেজিস্টর এর আড়াআড়িতে ভোল্টেজ ড্রপ সার্কিটে প্রয়োগকৃত ভোল্টেজ এর সমান। অর্থাৎ 1/R=1/R1+1/R2+1/R3+——–+1/Rn
(ii) প্যারালাল সার্কিটে সংযুক্ত প্রতিটি রেজিস্টর এর মান উল্টিয়ে যোগ করলে যোগফল সমতুল্য (সার্কিটের) রেজিস্ট্যান্সের উল্টানোমানের সমান।
১৮। সাইকেল কাহাকে বলে?
১৯/সাইকেল কাকে বলে
২০।ফ্রিকোয়েন্সি কাকে বলে ?
২১। ফ্রিকুয়েন্সী (Frequency) কাহাকে বলে?
২২। অল্টারনেশন কাহাকে বলে?
২৩। পিরিয়ড (Period) কাহাকে বলে?
২৪/এম্পিয়ার সমান কত ওয়াট?
Define Voltage?২৫/ ভোল্টেজ কাকে বলে
সহজ করে বলতে গেলে কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য কে ই আমরা ভোল্টেজ বলতে পারি।" "অথবা ইলেক্ট্রন কে চালনা করতে যে চাপের প্রয়োজন হয় সি চাপ তা ই হলো ভোল্টেজ। "
২৬/ট্রান্সফরমার কাকে বলে ??
সিন্ক্রনায়জিং কি ?সিন্ক্রনায়জিংকরবার উদেশ্য ও শর্ত সমূহ কি ?
উদেশ্য : 1. ম্যাক্সিমাম এফিসিয়েন্সি 2. সার্বক্ষণিক চালু রাখা। 3. মেরামত ও ওভার হলিং। 4. ভবিষত বর্ধিত লোড বহন।
সুবিধা : 1. পার ইউনিট খরচ কম 2. এফিসিয়েন্সি বেশি 3. ভবিষতলোড বৃধিতে অতিরিক্ত ইউনিট ব্যবহার এর সুযোগ
শর্ত সমূহ : 1. প্রতিটি অল্টারনেটর বা এ সি জেনারেটরটার্মিনাল ভোল্টেজ সমান হতে হবে 2. প্রতিটি অল্টারনেটর এর গতি এমন হতে হবে যে,এদের দ্বারা সৃষ্ট ফ্রিকোয়েন্সি সমান হয় 4. সিন্ক্রনায়জিং এর সময় বসবার ও অল্টারনেটর এর ভোল্টেজ ইনফেজ অপজিশন থাকবে যাতে সার্কুলেটিং কারেন্ট না থাকে
কমিউনিকেশন সিস্টেম ও নেটওয়ার্কিং ইন্টারনেট?
এক্সট্রানেট
v-32 কী?
ন্যারো ব্যান্ডে ডেটা স্থানান্তরের গতি কত?
BPS কী?
থিকনেট কি?
ভিডিও কনফারেন্সিং এ কোন ধরনের ডেটা ট্রান্সমিশন করা হয়?
ক্লাডিং কী?
UTP কী?
টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলের ফ্রিকোয়েন্সি কত?
DECT কী?
অ্যামচার কী?
STP কী?
ফটো ডিটিকটর কী?
IC কী?
হটস্পট কী?
GPS কী?
মডেম কোন গতিতে ডেটা পাঠায়?
বেতার তরঙ্গ কত প্রকার?
ব্লুটুথ কর্তৃক প্রেরিত সিগন্যালের ক্ষমতা কত?
ইন্টারনেট কোন ধরনের টপোলজি?
জ্যাকেট এর ব্যাস কত?
IMSI কী?
WWAN কী?
কমিউনিকেশন সিস্টেমের উপাদান কী?
কমিউনিকেশন সিস্টেমের উপাদান কী?
কমিউনিকেশন সিস্টেমের মৌলিক উপাদান কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ- কমিউনিকেশন সিস্টেমের মৌলিক উপাদান পাঁচটি যথা-
মাধ্যম কাকে বলে?
প্রাপক কাকে বলে?
মডেম কিভাবে কাজ করে?
কমিউনিকেশন সিস্টেম কী?
ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড কী?
ব্যান্ড উইডথ কাকে বলে?
বিট সিনক্রোনাইজেশন কাকে বলে?
এসিনক্রোনাস কাকে বলে?
সিনক্রোনাস কাকে বলে?
সিমপ্লেক্স মোড কী?
হাফ ডুপ্লেক্স মোড কী?
ফুল ডুপ্লেক্স মোড কী?
ইউনিকাস্ট মোড কাকে বলে?
ব্রডকাস্ট মোড কী?
মাল্টিকাস্ট মোড কী?
চ্যানেল কাকে বলে?
ডেটা কমিউনিকেশনের মাধ্যম কী?
কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের কয়টি অংশ?
টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল কী?
অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল কী?
ওয়্যারলেস ডেটা কমিউনিকেশন কী?
বেতার তরঙ্গ কী?
ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
মাইক্রোওয়েভ এর কাজ কী?
টেরিস্ট্রিয়াল মাইক্রোওয়েভ কোন ধরনের ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহ্রত হয়।
স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ প্রযুক্তিতে কোন উপগ্রহের সহায়তা নিতে হয়?
ইনফ্রারেড কত দূরত্বের মধ্যে ডেটা প্রেরণ করে?
ওয়্যারলেস প্যান কী?
ওয়্যারলেস ল্যান কী?
ওয়াইম্যাক্স কী?
রেডিওলিনজা কী?
TDMA প্রযুক্তি কয়টি মহাদেশে ব্যবহৃত হচ্ছে?
CDMA প্রযুক্তি কোথায় ব্যবহৃত হয়?
নেটওয়ার্ক কী?
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার কী?
ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেম কী?
ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কী?
কো-এক্সিয়াল কাকে বলে?
টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল কী?
অপটিক্যাল ফাইবার কী?
রেডিও ওয়েভ কাকে বলে?
মাইক্রোওয়েভ কাকে বলে?
ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম কী?
ব্লুটুথ কী?
ওয়াই-ফাই কাকে বলে?
মোবাইল যোগাযোগ কী?
মডেম কাকে বলে ?
হাব কী?
রাউটার কী?
গেটওয়ে কী?
নেটওয়ার্ক টপোলজি কাকে বলে?
বাস টপোলজি কাকে বলে?
মেশ টপোলজি কাকে বলে?
রিং টপোলজি
স্টার টপোলজি কাকে বলে?
ডাটা ট্রান্সমিশন স্পিড : এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে অথবা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করাকে ট্রান্সমিশন বলে; আর যে হারে ডাটা ট্রান্সমিশন বা স্থানান্তর করা হয়, তাকে ডাটা ট্রান্সমিশন স্পিড বলে। অন্যভাবে বলা যায়, প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডাটা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে স্থানান্তর করা হয়, তাকে ডাটা ট্রান্সমিশন স্পিড বলা হয়। এই ডাটা ট্রান্সমিশন স্পিডকে ব্যান্ড উইডথ বা ব্যান্ড স্পিডও বলা যেতে পারে।
ন্যারো ব্যান্ড : এ ব্যান্ডে ডাটা চলাচলের গতি সাধারণত ৪৫ থেকে ৩০০ বিপিএস হয়ে থাকে। ধীরগতি ডাটা স্থানান্তরে ন্যারো ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়। সাধারণত টেলিগ্রাফির ক্ষেত্রে এই ব্যান্ডটির ব্যবহার বেশি লক্ষ করা যায়। টেলিগ্রাফির ক্ষেত্রে ন্যারো ব্যান্ড সাধারণত ৩০০ থেকে ৩৪০০ হার্টজ ফ্রিকুয়েন্সি প্রদান করে থাকে। টেলিগ্রাফিতে তারের ব্যবহার বেশি হওয়ায় ডাটা স্থানান্তর গতি কম, তাই এ ক্ষেত্রে ন্যারো ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়।
ভয়েস ব্যান্ড : এ ব্যান্ডে ডাটা চলাচল গতি ৯৬০০ বিপিএস পর্যন্ত হয়ে থাকে। ভয়েস ব্যান্ড সাধারণত টেলিফোন লাইনে বেশি ব্যবহূত হয় টেলিফোন লাইনে এই ব্যান্ডে সাধারণত ২০০ থেকে ৩৬০০ হার্টজ ফ্রিকুয়েন্সিতে তথ্য স্থানান্তর করা যায়। তবে কম্পিউটার কমিউনিকেশন কিংবা কম্পিউটার থেকে প্রিন্টারে ডাটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কিংবা কার্ডরিডার থেকে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রেও ভয়েস ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়।
ব্রডব্যান্ড : ব্রডব্যান্ড উচ্চ গতিসম্পন্ন স্থানান্তর ব্যান্ডউইডথ, যার গতি কমপক্ষে ১ মেগাবিট প্রতি সেকেন্ড হতে অত্যন্ত উচ্চগতি পর্যন্ত হয়ে থাকে। কো-এক্সিয়াল কেব্ল, অপটিক্যাল ফাইবার কেব্ল, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন, মাইক্রো -ওয়েভ কমিউনিকেশন কিংবা নেটওয়ার্কিং প্রক্রিয়ায় ডাটা স্থানান্তরে সাধারণত ব্রডব্যান্ড ব্যবহূত হয়।ডাটা কমিউনিকেশন স্পিডের তারতম্যের ফলে বিভিন্ন ব্যান্ডের উদ্ভব হয়। আর এসব ব্যান্ড আবার বিভিন্ন গতিসম্পন্ন বিভিন্ন প্রযুক্তিতে ডাটা স্থানান্তরে ব্যবহার হয়ে থাকে।নেটওয়ার্কের প্রকারভেদঃবর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অসংখ্য কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিদ্যমান।এ সকল নেটওায়ার্কে অসংখ্য কম্পিউটারসহ অন্যান্য অনেক দামী যন্ত্রপাতি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।কাজেই এ সকল নেটওয়ার্ককে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে শ্রেণীবিভাগ করা যায়।যেমন- নেটওয়ার্কের মালিকানা, নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ ও সেবা প্রদানের ধরন,নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি ইত্যাদি।
মালিকানা অনুসারে নেটওয়ার্কের শ্রেণীবিভাগঃমালিকানার উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।যেমন
পাবলিক নেটওয়ার্কঃপাবলিক নেটওয়ার্ক সাধারণত কোন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার মালিকানাধীন থাকে না।তবে এটি কোন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয়।যে কেউ চাইলেই এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারে।হবে এ জন্য ব্যবহারকারীকে সাধারণত কিছু ফিস বা মূল্য পরিশোধ করতে হয়।
নিয়ন্ত্রণ কাঠামো অনুসারে নেটওয়ার্কের শ্রেণী বিভাগঃনেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ কাঠামো এবং সার্ভিস প্রদানের ধরনের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়।যথা-
ডিস্ট্রিবিউটেড নেটওয়ার্কঃডিস্ট্রিবিউটেড নেটওয়ার্ক পরস্পর সংযুক্ত কিছু ওয়ার্কস্টেশন, বিভিন্ন শেয়ার্ড স্টোরেজ ডিভাইস এবং প্রয়োজনীয় ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস নিয়ে গঠিত।ওয়ার্কস্টেশনগুলোর নিজস্ব মেমরি, স্টোরেজ ও প্রসেসিং ক্ষমতা থাকায় এগুলো লোকাল কাজ করতে পারে। লোকাল কাজ বলতে ঐ ওয়ার্কস্টেশনের নিজস্ব সফটওয়্যার, ডেটা ও প্রসেসিং ক্ষমতা ব্যবহার করে কোন কাজ করা বুঝায় যে ওয়ার্কস্টেশনের মধ্যে এগুলো অবস্থান করে।তাছাড়া এই ওয়ার্কস্টেশনের সাহায্যে এর সাথে সংযুক্ত সার্ভার কম্পিউটারের সার্ভিস গ্রহন করতে পারা যায়।কিছু কিছু ডিস্ট্রিবিউটেড নেটওয়ার্কে গ্লোবাল স্টোরেজ মিডিয়া থাকে যার মধ্যে গ্লোবাল ইনফরমেশন ও সফটওয়্যার সংরক্ষিত থাকে।এগুলো প্রয়োজনে ওয়ার্কস্টেশন ব্যবহার করতে পারে।
হাইব্রিড নেটওয়ার্কঃসেন্ট্রালাইজ নেটওয়ার্ক ও ডিস্ট্রিবিউটেড নেটওয়ার্কের সংমিশ্রণে হাইব্রিড নেটওয়ার্ক তৈরী করা হয়।বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বর্তমানে এই হাইব্রিড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে।এই নেটওয়ার্কে হোস্ট কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ ও প্রসেসিংয়ের পাশাপাশি ডিস্ট্রিবিউটেড নেটওয়ার্কের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকায় এটি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়।
ভৌগলিক বিস্তৃতি অনুসারে শ্রেণীবিভাগঃনেটওয়ার্কের অন্তগত বিভিন্ন উপাদানগুলোর অবস্থা ভৌগলিক বিস্তৃতির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে প্রধানত চার ভাগে ভাগ করা যায়।যথা -
লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ল্যানঃসাধারণত ১০ কিলোমিটার বা তার কম এরিয়ার মধ্যে বেশ কিছু কম্পিউটার টার্মিনাল বা অন্যকোন পেরিফেরাল ডিভাইস সংযুক্ত করে যে নেটওয়ার্ক তৈরী করা হয় তাকে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ল্যান বলে।এটি সাধারণত স্কুল-কলেজ ক্যাম্পাস এবং বড় অফিস বিল্ডিংয়ে অথবা কোন ব্যয়বহুল পেরিফেরাল ডিভাইসকে অনেক ব্যবহারকারী যাতে ব্যবহার করতে পারেন সেজন্য ব্যবহার করা হয়।ল্যান টপোলজি সাধারণত স্টার, রিং কিংবা ব্রডকাস্ট চ্যানেল মেথড হয়ে থাকে।এর ট্রান্সমিশন মিডিয়া হিসেবে সাধারণত কো-ইউটিপি ক্যাবল, অক্সিয়াল ক্যাবল বা অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করা হয়
মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ম্যানঃযখন একটি শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত কিছু কম্পিউটারকে নিয়ে একটি নেটওয়ার্ক গঠিত হয় তখন উক্ত নেটওয়ার্ককে ম্যান বলে।এটি ল্যান এর থেকে বড় এরিয়া এর নেটওয়ার্ক।যার ট্রান্সমিশন মিডিয়া হিসেবে সাধারণত টেলিফোন লাইন, মডেম বা কোন কোন ক্ষেত্রে মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করা হয়। এর দূরত্ব সাধারণত কোন শহর ভিত্তিক হয়ে থাকে।ম্যান এর উদাহরণ হিসাবে কোন শহরের কেবল টেভি নেটওয়ার্ককে উল্লেখ করা যেতে পারে।
ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ওয়ানঃওয়ান একটি সিস্টেম যেখানে বিভিন্ন ভৌগলিক দূরত্বে অবস্থিত কিছু ল্যান বা ম্যান একত্রে সংযুক্ত হয়ে একটি নেটওয়ার্ক হিসেবে কাজ করে।যখন একটি দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের সাথে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা স্থাপন করা হয় তখন উক্ত নেটওয়ার্ককে ওয়ান বলে।সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন শহরের অবস্থিত ল্যান বা ম্যান বা অন্য কোন কম্পিউটার ডিভাইসকেও এই নেটওয়ার্কের আওতাভূক্ত করা হয়।এই নেটওয়ার্কিং সিস্টেমে ট্রান্সমিশন মিডিয়া হিসাবে টেলিফোন লাইন, স্যাটেলাইট বা মাইক্রোওয়েভের মাত পাবলিক কমউনিকেশন সিস্টেম ব্যবহার হয়ে থাকে।তবে বর্তমানে ফাইবার অপটিক ক্যাবলও ব্যবহার করা হচ্ছে।ইন্টারনেট একটি ওয়ান এর উদাহরণ।
WAN এর সুবিধাসমূহ -* মুহূর্তের মধ্যেই বিশ্বের একস্থান থেকে অন্য স্থানে ডেটা এবং সংবাদ পাঠানো যাবে।
* মেমরি ব্যবস্থার মাধ্যমে ডেটাকে সংরক্ষণ করা যাবে এবং প্রয়োজনে তা গ্রাহকের কাছে অতি অল্প সময়ের মধ্যে পাঠানো যাবে।
* রোগী ঘরে থেকে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন, ডাক্তরকে দেখতে পারবেন, ইলেকট্রনিক সেন্সর হতে রাখার মাধ্যমে ডাক্তারকে অবহিত করতে পারবেন রোগের নমুনা ও লক্ষণ সম্বন্ধে।
* ছাত্ররা কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে না গিয়েই ক্লাশে অংশ নিতে পারবে।পারবে শিক্ষককে প্রশ্ন করতে কিংবা ছাত্রদের সাথে ভাবের আদান প্রদান করতে।
http://sakhawat.jimdo.com/tense-english-grammar/
প্রথম আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছিল ২৫শে জুলাই ১৯৭৩ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আরপানেট যোগাযোগ স্থাপিত হয় লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজের৻
১৯৭৩ সালেই আরপানেটের রবার্ট কান আর ভিনটন সার্ফ প্রথমবারের মতো তৈরি করেন ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রটোকল এবং ইন্টারনেট প্রটোকল - যাকে বলা হয় টিসিপিআইপি৻ ১৯৮০র দশকে এটাই পরিণত হয় ইন্টারনেটের সার্বজনীন ভাষায়৻
১৯৭৫ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের মধ্যে টিসিপিআইপির প্রথম পরীক্ষা হয়৻ এর দু‘বছর পর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং নরওয়ের মধ্যে তিনটি নেটওয়ার্কের মধ্যে টিসিপিআইপি যোগাযোগ স্থাপনের পরীক্ষা হয়
১৯৮১ সাল নাগাদ আইবিএম-এর মতো কোম্পানিগুলো আরো কিছু নেটওয়ার্ক চালু করে৻ যেমন বিটনেট, এদের নেটওয়ার্কে একসময় ৪৯টি দেশের এক হাজারেরও বেশি প্রতিষ্ঠান সংযুক্ত ছিল৻
পরের কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বিজ্ঞান ফাউন্ডেশন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে যাকে বলা হতো এনএসএফনেট৻
নেটওয়ার্কে যোগাযোগের ভাষায়ও প্রতিদ্বন্দ্বীর আবির্ভাব ঘটে, তবে টিসিপিআইপি প্রটোকলই শেষ পর্যন্ত ইন্টারনেটের সর্বজনগ্রাহ্য ভাষা হয়ে দাঁড়ায়৻১৯৮৭র নভেম্বর থেকে এনএসএফনেট তাদের তথ্যপরিবহনের গতির এমন উন্নয়ন ঘটায় যার ফলে সে যুগের ইন্টারনেট প্রথম বারের মতো বাণিজ্যিক বিনিয়োগকারী আকর্ষণের ক্ষমতা অর্জন করে৻
১৯৮৮ সালে আন্তর্জাতিক চেহারা নেয় প্রাথমিক যুগের ইন্টারনেট ৻ এনএসএফনেট যোগাযোগের সাথে যুক্ত হয় ক্যানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, এবং সুইডেন৻
১৯৯০ সাল নাগাদ আরপানেটের জায়গা নিয়ে নেয় এনএসএফনেট ৻ ততদিনে ইন্টারনেটের আকার এমন হয়েছে যে আরপানেট যখন বন্ধ হয়ে গেল তখন কর্মচারীরা ছাড়া আর কেউ তা বুঝতেই পারে নি৻
১৯৯১ সালে টিম বার্নার্সলি ওয়াল্র্ড ওয়াইড ওয়েব প্রকল্প চালু করেন৻ ১৯৯২ সালে ইন্টারনেটের গতি বেড়ে প্রতি সেকেন্ডে ৪৫ মেগাবিটস-এ দাঁড়ায়৻
২২শে সেপ্টেম্বর ১৯৯২ তারিখে সারা ইউরোপ জুড়ে ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু হয় এনএস্এফনেটের আদলে – যার নাম ছিল ই-বোন৻
১৯৯৩ সালের ২২শে এপ্রিল উইনডোজ অপারেটিং সিস্টেমে প্রথম ওয়েব ব্রাউজার চালু হয় - যার নাম ছিল মোজাইক৻
১৯৯৫ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে এনএসএফনেট এবং ই-বোন বন্ধ হয়ে যায় আর তাদের জায়গা নেয় পরস্পর আন্তঃসংযুক্ত বাণিজ্যিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীরা৻